মেধাহীনদের গুজব – পাবলিক প্লেসে গোপন বৈঠক!

by bdnewsinsider

দেশ ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি গত এক যুগ ধরে গুজব ও অপপ্রচারের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব অপপ্রচারের কমন বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তারা মেধার ব্যবহার না করে বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বিষয় নিয়ে গুজব ও অপপ্রচার চালায় যা স্বাভাবিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন মানুষের কাছে হাসির খোরাক ছাড়া আর কিছুই নয়। এ জাতীয় হাস্যকর অপকর্মের একটি হচ্ছে, দেশের উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা ও বিশিষ্টজনদের গোপন বৈঠক। মজার ব্যাপার হচ্ছে এসব মিটিংয়ের স্থান উল্লেখ করা হয়েছে পাবলিক প্লেস অর্থাৎ সেনাকুঞ্জ, আইবিএ হল ও পুলিশ কনভেনশন সেন্টার।

গুজব ছড়ানো হয়েছে যে সেনাকুঞ্জ ও পুলিশ কনভেনশন হলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন। সবচেয়ে হাস্যকর ব্যাপার হচ্ছে কোনো অপপ্রচারে বলা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বিএনপির প্রতি সহযোগিতামূলক আচরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, আবার আরেকটি প্রোপাগান্ডায় বলা হচ্ছে বিএনপির প্রতি দমনমূলক আচরণ করা হবে। দমন করবে নাকি সহযোগিতা করবে – এ বিষয়ে বিএনপির গুজবসেলের মধ্যেই দ্বিধা-বিভক্তি রয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে!

অপপ্রচারকারীদের সেনাকুঞ্জ, পিএসসি বা আইবিএ’র হল সম্পর্কে কোনো ধরণের ধারণা নেই।  নির্দিষ্ট বাহিনী দ্বারা পরিচালিত হলেও এগুলো মূলত পাবলিক প্লেস। এসব স্থানে অন্তত তিন মাস আগে বুকিং করতে হয়। এর পুরো এলাকা সিসিটিভি নিয়ন্ত্রিত। এমন স্থানে গোপন বৈঠক করবে কে বা কারা?

সাপ্তাহিক অপরাধ কন্ঠের প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, তাদের দাবি অনুযায়ী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা যেদিন বৈঠক করেছিলেন সেদিন সেনাকুঞ্জে বিবাহের এবং পিএসসিতে জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল। এমন জনসমাগমস্থলে গোপন বৈঠক করার কথা অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তি ছাড়া কারও পক্ষে চিন্তা করা কী সম্ভব?
সবচেয়ে বড় কথা যে বৈঠকের খবর প্রকাশ হয়ে যায় সেটি গোপন থাকে কিভাবে? আর গোপন বৈঠক যদি হয়েও থাকে, যেহেতু কথিত বৈঠকে বিএনপির পক্ষে থাকার কথা বলা হয়েছে, তাহলে এমন স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস করে তারা নিজেদের পায়ে কুড়াল মারছে কেন?
এ জাতীয় অপপ্রচার আব্দুর রবের মত অশিক্ষিত ও দুর্নীতিবাজ শামসুল আলমের মত স্বল্প বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের পক্ষেই প্রচার করা সম্ভব।

ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশবিরোধী চক্রের নানারকম গুজব ও অপপ্রচার নতুন কিছু নয়। প্রকৃতপক্ষে বর্তমানে সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের মধ্যে অত্যন্ত সুসম্পর্ক রয়েছে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার ব্রত নিয়ে কাজ করছেন। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকার কারণে এ সম্পর্ক ও মেলবন্ধন ক্রমে আরও দৃঢ় ও শক্তিশালী হয়েছে। এ কারণেই এই সুসম্পর্ক ভাঙার জন্য দেশবিরোধী চক্র সক্রিয় রয়েছে যা কখনোই সফল হবে না।
দেশের সচেতন জনগণ অতীতেও দেশবিরোধী অপশক্তির গুজব ও অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণ হতে দেখেছে, আগামীতেও দেখবে। তারা কখনো সত্য প্রকাশ করলেও ফলাফল হবে মিথ্যাবাদী রাখালের মত।

একই লেখা

Leave a Comment